সিলেটে জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, |                          

হেফাজতের হরতালে জামায়াত-শিবিরের তান্ডবের ঘটনায় সিলেটে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ মার্চ) রাতে কোতোয়ালির বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ১৬ জনের নামোল্লেখ করে এজাহারে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ।

তিনি বলেন, শনিবার সিলেট নগরীর নয়াসড়ক থেকে জামায়াতে ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরদিন কালিঘাট-বন্দরবাজার থেকে আরো ৫জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও এজাহারে অজ্ঞাত আরো দেড় থেকে দুইশ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে ।

এদিকে গতকাল রোববার মোদী বিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটেও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়। ভোর থেকে সিলেটের রাস্তায় নেমে পড়েন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। সিলেট নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করেন তারা।

সকাল ১১টার দিকে হেফাজতের মিছিল শেষে করে চলে গেলে পরবর্তী সময়ে জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের হামলা করে তান্ডব চালায়।

এসময় পুলিশ ৫ জনকে আটক করলেও জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্ট ৩ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন কিশোরগঞ্জ সদরের বাজিতপুরের মো.শাহিন মিয়ার ছেলে বর্তমানে নগরের ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা মো. নিবর (১৯), একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. হাছিব (২০), ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমণ্ডল গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরিইকান্দির বাসিন্দা শাহীন আহমদ (১৯)।

নয়াসড়ক থেকে গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত-শিবিরের ১৪ নেতাকর্মী হলেন- সিলেট নগরর উপশহর ই ব্লকের ৬নং রোডের বাসিন্দা জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার গ্রামের ফখর উদ্দিনের ছেলে জুয়েল আহমদ (২০), নগরীর সুরমা টাওয়ারের বাসিন্দা সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক সেওতরছড় গ্রামের মৃত আমীর আলীর ছেলে জুনেদ আহমদ (২২), সিলেট নগরীর বাদামবাগিচার ৩৮/৪ নম্বর বাসার মৃত আবু উবায়দার ছেলে মো. মিজানুর রহমান মুন্না (২১), নিপবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভাল্লুকখাড়ার শিবাহ উদ্দিনের ছেলে মো. খায়রুল হাসান (২৪), জালালাবাদ থানার উমাইরগাঁও’র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম (২০), নগরীর আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই’র মাহমুদ আলীর ছেলে মো. তোফায়েল আহমদ (২১), নগরীর ইসলামপুরের বাসিন্দা মৌলভীবাজার বড়লেখা সদরের আতিকুর রহমানের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২০), নেত্রকানা জেলার খালিয়াজুড়ি থানার বল্লি গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মো. আলী মর্তুজা (২৩), সিলেটের দক্ষিণ সুরমা হবিনন্দির মৃত মিছবা উদ্দিনের ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন রেজা (২৫), দক্ষিণ সুরমার খালপাড়ের ময়না মিয়ার ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান (২১), ফেনী জেলা সদরের উত্তর ফাজিলপুরের আবুল কালামের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (২৩), সিলেট নগরীর মিতালি টিভি গেইটের মৃত আবদুল করিমের ছেলে মো. তাহের আহমদ (২২), উপশহর এ ব্লকের ৪১ নম্বর বাসার মো. শামসুল ইসলামের ছেলে মো. মোজাহিদুল ইসলাম, শাহপরাণ থানার মুক্তিরচরের ইরফান আলীর ছেলে মো. সাইদুর ইসলাম (২২)।