সিলেট ২৮শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
মুসলিম ধর্মের মেয়ে এনির সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে হিন্দু ধর্মের ছেলে শিপন মালাকারের। গত দুই বছরে তাদের সর্ম্পক রূপ নেয় গভীর থেকে গভীরে। গত ২৫ ডিসেম্বর এনি পরিবারের সাথে রাগারাগি করে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়ে।
পরিকল্পনা ছিলো পাহাড়ি এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালাবেন তারা। কিন্তু গহীন জঙ্গলে ঘটলো পরিকল্পনার ছন্দপতন। গহীন অরণ্যে হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে টিলার নিচে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান প্রেমিকা। ভোরে যখন জ্ঞান ফেরে, তখন তিনি ওপরে উঠে শিপনের লাশ গাছের সাথে ঝুলতে দেখেন।
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ভারতীয় সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্ট এওলাছড়া পানপুঞ্জির গভীর জঙ্গল থেকে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) শিপন মালাকারের (১৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক পার্শ্ববর্তী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের সিন্ধু মালাকারের ছেলে।
লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের লাশের পাশে এনি আক্তার (১৬) নামক কান্নারত এক কিশোরিকে পাওয়া যায়। পুলিশ লাশের সাথে তাকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার থেকে শিপন মালাকার ও এনি আক্তার নিখোঁজ। তাদের পরিবার তাদের খুঁজে না পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। সকালে স্থানীয় লোকজন মারফত পুলিশ খবর পায় সীমান্তে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় যবকের লাশ ঝুলছে এবং পাশে বসে একটি মেয়ে কান্নাকাটি করছে।
কুলাউড়া থানার এসআই মহসিন তালুকদারসহ ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিপন ও এনিকে শনাক্ত করেন।
লাশের পাশে অবস্থানরত কিশোরী এনি আক্তার জানান, শিপনের সাথে তার ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। শুক্রবার বিকেলে তিনি রাগ করে শিপন মালাকারের সাথে ঘর ছাড়েন। কর্মধা ইউনিয়নের এওলাছড়া পানপুঞ্জি এলাকায় আসেন। ততক্ষণে রাত নেমে আসে। গহীন অরণ্যে হাঁটতে গিয়ে তিনি পা পিছলে টিলার নিচে পড়ে যান। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। ভোরে যখন তার জ্ঞান ফেরে, তখন তিনি ওপরে উঠে শিপনের লাশ গাছের সাথে ঝুলতে দেখেন।
এনি আক্তার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানিকিয়ারি গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে। তিনি আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
কুলাউড়া থানার এসআই মাহসীন তালুকদার জানান, লাশের গায়ে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিলো না। শিপনের পরনের সোয়েটার দিয়ে গলার সাথে ফাঁস লাগানো ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হবে।
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : Al Marjan Shoping Centre (3nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
২০১০ সাল থেকে শুরু – সরকারি নিবন্ধনের আবেদনকৃত নিউজ পোর্টাল।