![গোয়াইনঘাটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ , রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা!](https://sylhetnewsworld.com/wp-content/uploads/2024/06/received_1126443701914365.jpeg)
পাহাড়ী ঢল আর আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাটের চার তৃতীয়াংশ। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। এতে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং এ কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। অধ্য ৩১ মে শুক্রবার সকাল ৯ ঘঠিকা থেকে বিকাল ৩ ঘঠিকা পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্ট সমূহ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলাম । মধ্য জাফলং, পূর্ব জাফলং, লেংগুড়া, সদর ইউনিয়ন, পূর্ব আলীরগাঁও, ডৌবাড়ি, পশ্চিম আলীরগাঁও এলাকা ইতোমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হান পারভেজ রনি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব ডা. জামাল খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ সমন্বয়ে গঠিত টিম উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, সড়ক, ব্রীজ-কালভার্টের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি, গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করছেন।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী কে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এবং পিআইও কে অনতিবিলম্বে নদী ও খালের পার্শ্বস্থ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট ও ব্রীজ সমূহকে মেরামত ও সংস্কার করে যানবাহন ও জনচলাচল উপযোগী করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এছাড়াও গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর থেকে কলেজ রোড পর্যন্ত চার থেকে পাঁচটি অংশে ভেঙ্গে গেছে, আলীরগ্রাম এর অংশে রাস্তা দ্বি-খণ্ডিত হয়েছে। সারী-গোয়াইনঘাট রাস্তার একাধিক অংশের অবস্থা বেহাল, এছাড়া ও বঙ্গবীর টু হাদারপার রাস্তার একটি অংশের অবস্থা নাজেহাল। পানিবন্ধি রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে কটিন দিনকাল পার করছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, অনেক গরু ছাগল খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছেন।
সুত্র আরোও জানায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরি ভিত্তিতে সিলেট-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ এর নির্দেশনায় ১৩ টি ইউনিয়নে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের মাধ্যমে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে
বন্যার্তদের জন্য ১৩ টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে জরুরি সহায়তা হিসেবে ৩৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে ( জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপ-বরাদ্দ হতে)। শুকনা খাবার হিসেবে প্রতি প্যাকেটে ২ কেজি চিড়া, আধা কেজি করে গুড় ও পানি বিশুদ্ধকরণ টাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।