ইউনিক মাল্টিমিডিয়া স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, |                          

ইউনিক এডুকেশন রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত সিলেটের প্রথম ডিজিটাল প্রাইমারি স্কুল, ইউনিক মাল্টিমিডিয়া স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) নগরীর মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে উইমেন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও ইউনিক মাল্টিমিডিয়া স্কুলের পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদারের সভাপতিত্বে স্কুলের শিক্ষক নুরুন নাহার নিশা ও নাটক প্রশিক্ষক রুবেল রাজের যৌথ সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইহান এবং পবিত্র গীতা পাঠ করেন দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অনসূয়া সরকার স্নেহা ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখলেন স্কুলের শিক্ষক শেখ সালেহা মাহবুব, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্কুলের শিক্ষিকা অন্তরা দেব রায়। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক ফাতেমা পারভীন মালা , স্কুলের শিক্ষার পদ্ধতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউনিক মাল্টিমিডিয়া স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও নলেজ গার্ডেন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিশির সরকার।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুরারিচাঁদ কলেজের অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে যে শিল্প বিপ্লব চলছে সেই শিল্প বিপ্লবে তৃতীয় শিল্প বিপ্লব পেরিয়ে আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পদার্পণ করেছি। সুতরাং এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে যদি আমরা সাদর আমন্ত্রণ জানাতে না পারি তাহলে আমরা বহির্বিশ্ব থেকে অনেক পিছিয়ে পড়ব। বর্তমান সরকার যে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম করেছে। তা বিশ্বেন অন্যান্য দেশের সাথে মিল রেখেই করেছে। যাতে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে রীতিমতো যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনি ভাবে শিক্ষাক্ষেত্রেও এগিয়ে যাবে।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিক ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব রাশেদ আহমদ, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি জনাব আফসার আজিজ।

অতিথিদের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ২০২৩ সালের বার্ষিক মূল্যায়নের মেধাবী শিক্ষার্থীরা, বর্ষসেরা নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এবং বর্ষসেরা নির্বাচিত অভিভাবক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্কুলের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তিন শতাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা গান, আবৃত্তি, নাটক ও নিত্য পরিবেশন করে তাদের ট্যালেন্ট শো পরিবেশন করে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে রাখে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে রচনা প্রতিযোগিতা ও ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।