সিলেটে বিয়ের ২দিন পরথেকে এক প্রবাসী নিখোঁজ

প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, |                          

সিলেটে বিয়ে করার ২দিন পরথেকে এক সৌদি প্রবাসী নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ প্রবাসীর নাম হাফিজ ক্বারী মোঃ মিরাজুল ইসলাম (৩৮)।
তিনি চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ,তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনটিও বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরথেকে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এর দুইদিন আগে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের মৃত মানিক মিয়া মেয়া হাফছা বেগমের সাথে তার বিয়ে হয়। এর প্রায় দেড়মাস আগে টানা প্রায় ৬ বছর সৌদিআরবে প্রবাসে থেকে তিনি দেশে আসেন। তিনি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের চামাউরা কান্দি গ্রামের বাসিন্দা,তবে তিনি পরিবারের সাথে সিলেট মহানগরীর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শাহ সিকন্দর আবাসিক এলাকায় হাসিনা বেগম নামের সৎ মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার পিতার নাম মোঃ আব্দুর রহমান। জন্মসুত্রে তার স্হায়ী ঠিকানা কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার ইটনা গ্রামের খন্দকার হাটি এলাকায়।
পারিবারিক সুত্র জানা যায়,নিখোঁজ মিরাজুল ইসলাম ১৯৯৮ সন থেকে পড়ালেখার সুবাধে সিলেটে আসেন। তখন তিনি সিলেটে থাকা এক আত্মীয়ের সুত্রধরে সিলেট সদর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি হিফজ বিভাগ থেকে কোরআনে হাফিজ ও দারুল ক্বেরাত মজিদিয়া ফুলতলী থেকে ক্বারী সনদ অর্জন করে স্হানীয় মোল্লারগাঁও জামে মসজিদে ৫-৬ বছর মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন,পরে তিনি সৌদিআরবে চলে যান। প্রায় দেড়মাস আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে এসে সিলেটের আখালীয়া এলাকার শাহ সিকন্দর আবাসিক এলাকায় সৎ মায়ের বাসায় উঠে সেখানেই অবস্হান করেন। এরপর চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। বিয়ের ২দিন পর অর্থাৎ (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল অনুমান ১০ টার দিকে মিরাজুল জরুরী কাজে কিছুক্ষণের জন্য বেরিয়ে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হন। পরে তার মোবাইলে পরিবার থেকে ফোন করলে কিছুক্ষণ মোবাইল ফোনটি খোলা থাকলেও বেলা ১২টার পরথেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্নীয় স্বজন ও পরিচিত জনের সাথে যোগাযোগ ও সম্ভাব্য স্হানে খোঁজাখুঁজি করে আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত কোথাও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে নিখোঁজের নববধূ হাফছা বেগম বাদী হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছেন,যার নম্বর ৫২০। এ বিষয়ের তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানা পুলিশের এস আই (উপ পরিদর্শক) পীযুষ কান্তি দাস এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সাধারন ডায়েরী করার পরথেকে পুলিশ এর অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় স্হানে জরুরী বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। নিখোঁজের ব্যাবহৃত মোবাইলের ‘কল ডিটেইলস রেকর্ড’ (সিডিআর) সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে,সেটা হাতে আসলে তদন্ত কার্যক্রমে আরও গতি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এদিকে নিখোঁজ মিরাজুল ইসলামের বড়ভাই মোঃ আনু মিয়া বলেন,মিরাজুল তাদের পরিবারের ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবার ছোট ভাই,তাঁর নিখোঁজের সংবাদের পরিবারের সবাই সহ আত্মীয় স্বজন সকলেই তার জন্য কাঁদছেন,সবাই বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি মিরাজুলকে দেশ বিদেশের কেউ তার অনুসন্ধান পেলে ০১৯৯৫৫৫াা০২৬৬ (বড় ভাই আনু মিয়া)’র নম্বরে বা নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে জানাতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি তাকে খুঁজে বের করতে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সরকারের আন্তরিক সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।