সিলেটে গ্রীবাপীঠ মন্দির ও সংস্কৃতি কলেজ পরিদর্শনে ভারতের জগৎগুরু শঙ্করাচার্য্য অধ্যোক্ষানন্দ দেবত্তীর্থ মহারাজ

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, |                          

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জৈনপুরে মহালক্ষমী গ্রীবাপীঠ মন্দির ও নগরীর শতবর্ষের প্রাচীনতম শ্রীহট্ট সংস্কৃতি কলেজ পরিদর্শন করেছেন ভারতের গোবর্ধন পীঠ-এর জগৎগুরু শঙ্করাচার্য্য অধ্যোক্ষানন্দ দেবত্তীর্থ মহারাজ।
আজ মঙ্গলবার সকালে ধর্মযাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে সিলেটে আসেন তিনি। প্রথমে তিনি সিলেটের সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জৈনপুরে মহারথি গ্রীবাপীঠ মন্দিরে যান। সেখান মন্দির পরিচালনা কমিটিসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী ও স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি দীর্ঘ সময় মন্দিরের ভেতরে অবস্হান করে পূজা দান করেন।
বিকেলে সিলেট নগরীর মীরের ময়দানে অবস্হিত সিলেটের শতবর্ষের প্রাচীনতম একমাত্র প্রতিষ্ঠান ‘সিলেট সংস্কৃত কলেজ’ পরিদর্শন করেন মহারাজ।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের ডেপুটি স্পিকার রামপ্রসাদ পালসহ অন্যান্যরা তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্হিত ছিলেন। সেখানে তিনি এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এ সময় জগৎগুরু শঙ্করাচার্য্য অধ্যোক্ষানন্দ দেবত্তীর্থ মহারাজ জানান, বিশ্বের সব মানুষের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় তাঁর এ যাত্রা।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি হচ্ছে আমাদের শক্তি। আমি বাংলাদেশ সফরে এসে এখানকার মানুষ স্ব স্ব ধর্ম পালন, সসবক্ষেত্রে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও সৌহার্দপুর্ণ পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে সত্যিই অভিভূত এবং সন্তুষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিজীকে বলব বাংলাদেশের চলমান শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এ ধারাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের পাশে থেকে আরও বেশি করে সবধরনের সহযোগিত করতে।’ তিনি ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ কামনা করেন।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের ডেপুটি স্পিকার রামপ্রসাদ পাল বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সবদিকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ভারতে মোদী সরকার যেমন ১৪০ কোটি মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে চিন্তা করছে তেমনি বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের সে ধরনের অঙ্গিভঙ্গি আমরা লক্ষ্য করছি। আমরা যথেষ্টভাবে বলতে পারি যে ভারত থেকে বাংলাদেশ এখন কোন অংশে কম না।
এ সময় শ্রীহট্ট সংস্কৃতি কলেজের অধ্যক্ষ ড. দিলীপ কুমার চৌধুরী মহারাজজী ও ভারতীয় ত্রিপুরা রাজ্যের ডেপুটি স্পীকারসহ আগত সবাইকে সিলেট সংস্কৃতি কলেজ পরিদর্শনে আসায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
এ সময় ভারতীয়দের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, মহন্ত ত্রিবেনীপুরী, থানাপতি মহন্ত নিত্যানন্দ গিরি, বিশিষ্ট সাংবাদিক তরুন চক্রবর্তী।
দুই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, অধ্যাপক রাকেশ চন্দ্র শর্ম্মা, অধ্যাপক বিদ্যুৎ জ্যোতি চক্রবর্তী, অধ্যাপক অরুন চক্রবর্তী, কবিরাজ উত্তম সরকার, মহালক্ষ্মী গ্রীভা মহাপীঠ সিলেটের উপদেষ্টা বীর মু্ক্তিযোদ্ধা পান্না লাল রায়, সভাপতি শিবব্রত ভৌমিক চন্দন,জ্যোতির্বিদ ড,চিন্ময় চৌধুরী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মকসুদ আহমদ মকসুদ, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের প্রতিনিধি ফারুক আহমদ প্রমুখ।