সোনার দাম ভরিতে কমছে ২,৯১৬ টাকা

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, |                          

সোনার দাম সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠার ছয় দিন পর দামি এই ধাতুর দর কমাল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। ভরিতে কমছে ২ হাজার ৯১৬ টাকা। এতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনার অলংকারের প্রতি ভরির দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। নতুন দর কাল শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে সোনার দাম কমেছে। কার্ব মার্কেটে মার্কিন ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার দাম নিম্নমুখী। তাই দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ গত রোববার সোনার দাম ৪ হাজার ১৯৯ টাকা বৃদ্ধি করেছিল জুয়েলার্স সমিতি। তাতে এক ভরি সোনার অলংকারের দাম দাঁড়ায় ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকা। দেশের ইতিহাসের এটিই ছিল সোনার সর্বোচ্চ দর। ছয় দিনের ব্যবধানে দাম কমানো হলেও গত রোববার আগে যে দামে ছিল, সেখানে ফেরেনি সোনার দর।

দাম হ্রাস পাওয়ায় আগামীকাল শুক্রবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৭৫ হাজার ৯৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৮৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হবে ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকায়।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকা, ২১ ক্যারেট ৭৮ হাজার ৭৩২ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকার বিক্রি হয়েছে ৫৬ হাজার ২২০ টাকায়। আগামীকাল শুক্রবার থেকে ২২ ক্যারেটে ২ হাজার ৯১৬ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ২ হাজার ৪৫০ ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ১ হাজার ৯৮২ টাকা কমবে।

আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার দামে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে গত ৮ মার্চ সোনার দাম আউন্স প্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৬ ডলারে উঠেছিল (১ আউন্স = ৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম)। গত মঙ্গলবার তা কমে হয়েছিল ১ হাজার ৮৬৭ ডলার। গত দুই দিন দাম ছিল নিম্নমুখী। বৃহস্পতিবার একপর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৮৪৫ ডলারের ঘরে ছিল।

জুয়েলার্স সমিতির সহসভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডলারের দামের অস্বাভাবিক প্রবণতা কমেছে। প্রবাসী আয়ও বেড়েছে। এতে দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটে সোনার দাম হ্রাস পেয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারেও নিম্নমুখী প্রবণতা আছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সোনার দাম কমানো হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনার দাম যখন কমে, তখন ক্রেতারা মনে করেন, আরও কমতে পারে। সে জন্য তাঁরা বাজার পর্যালোচনা করেন। সোনার নতুন দর যদি সপ্তাহখানেক স্থিতিশীল থাকে, তাহলে জুয়েলার্স দোকানে অলংকার বেচাবিক্রি বাড়বে।