সিলেট ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২২
একটি লোভী চক্রের কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার পুষাইনগরের সিটিএস মন্দির।সনাতনী সম্প্রদায়ের অতি পরিচিত শ্রী চৈতন্য অপ্রাকৃত সংঘ (সিটিএস) মন্দিরটি তার চিরাচরিত রূপে ফিরে আসার জন্য ভক্তরা দাবী জানান। তারা অবিলম্বে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিহ্ন করে গুরুমহারাজকে মন্দিরে ফেরাতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, না হলে হাজার হাজার ভক্তরা প্রাণ বিসর্জন দিতেও পিছপা হবে না।
রবিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিএস মন্দির গুরুমহারাজের শিষ্যরা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,সিটিএস মন্দির গুরুমহারাজের সকল শিষ্যদের পক্ষে অনীলা ঘোষ।
তিনি বলেন, ধর্মকে পূঁজি করে কিছু মানুষ মানুষ ও ধর্মালয়কে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে হীন স্বার্থে মেতে উঠে। এরকমই একটি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তারা তুলে ধরেন।সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, গুরু মহারাজের শিষ্য ননী গোপাল দাস, কৃপা নিধি, শিউলি দাশ, সহদেব কৃষ্ণ দাশ, মৌসুমী ঘোষ, সিদ্ধার্থ দাশ, মিশন শুক্ল বৈদ্য, রতন মনি দাস, সিক্তা রায়, কৃষণ শুক্ল বৈদ্য প্রমুখ। তারা বলেন, দামোদর গুরু মহারাজ কে বিতাড়িত করে মন্দিরের মধ্যে একের পর এক অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারী, অসদাচরণ সহ সব অপকর্ম করে এখানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ভক্তরা আশংকা প্রকাশ করে বলেন, দামোদর ও লোভী গোষ্ঠী যে কোন সময় গুরুকে মেরে ফেলতে পারে। তারা বলেন, শীঘ্রই আমরা মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কে বিষয়টা জানাব। তারা সাংবাদিকদেরকে এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনুসন্ধান মুলক প্রতিবেদন এর অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল পুষাইনগর। যে জায়গাটি আজ দেশের সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের নিকট অতি পরিচিত। শুধুমাত্র শ্রী চৈতন্য অপ্রাকৃত সংঘ (সিটিএস) মন্দির প্রতিষ্ঠার কারণেই প্রতিদিন যেখানে দূর-দূরান্ত থেকে আগমণ ঘটে শতাধিক ভক্তের। এই মন্দিরের পুরোনাম শ্রীচৈতন্য অপ্রাকৃত সংঘ এবং শ্রীগৌড়াঙ্গ মহাপ্রভু দেবালয়। মন্দিরটি পূর্বে শ্রী শ্রী গৌড়াঙ্গ মহাপ্রভু দেবালয় কমিটি দ্বারা বহুবছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল। মন্দির পরিচালনায় শ্রী চৈতন্য অপ্রাকৃত সংঘ (সিটিএস) দায়িত্ব প্রাপ্তির আগে মন্দিরটি ভাঙ্গাছোড়া টিন দ্বারা নির্মিত ছিলো যাতে বৃষ্টির পানি অনায়াসে গৌড়াঙ্গ মহাপ্রভূর বিগ্রহঅব্দি পৌছাতো। পূণ্যার্থী গমণাগমণে ছিলোনা কোনো সুষ্টু সুব্যবস্থা। মন্দির পরিচালনা কমিটি থাকলেও যথারীতি মন্দিরের কার্যক্রম পরিচালনায় পুরোঅসমর্থ ছিলেন। ঠিক সেই সময়টাতে সিটিএস (শ্রী চৈতন্য অপ্রাকৃত সংঘ) এর প্রতিষ্ঠাতা গুরু মহারাজ শ্রী ভক্তি প্রপন্ন যতি গোস্বামী-বাংলাদেশে তথা সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় ভাগবত পাঠ করছিলেন। সেই সুবাদে তিনি কুলাউড়ায় ভাগবত পাঠে যান। ওই সময়টাতে মন্দির কমিটির পরিচালনা কমিটি উনার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ঐ মন্দিরের বর্তমান অবস্থাও সেবাকার্য পরিচালনায় যে অসমর্থ সেটিও বিনয়ের সাথে গুরু মহারাজকে (শ্রী ভক্তিপ্রপন্ন যতি গোস্বামী) বিস্তাারিত অবগতকরেন। পরিচালনা কমিটি সে সময় গুরুমহারাজকে (শ্রী ভক্তিপ্রপন্ন যতি গোস্বামী) ঐ মন্দিরের দায়দ্বায়িত্ব বুঝে নিতে উনার সম্মতি প্রার্থনা করেন। তখন গুরুমহারাজ বললেন, একে তো অজোপাড়াগাঁ, তার উপর মন্দিরে নেই কোনো ধর্মীয় কার্যক্রম। ঠিক আছে মহাপ্রভূ সহায় হলে হয়তো একদিন এই মন্দিরও এই অঞ্চলে ভক্তদের পদচাণায় মুখরিত হয়ে উঠবে।
উক্ত ভূমি শ্রী শ্রী চৈতন্য গৌড়াঙ্গ মহাপ্রভুর আশ্রম হিসেবে কমিটির পক্ষে সেক্রেটারীর (নিরঞ্জন ঘোষ) নামে তৎসময়ে সেটেলমেন্ট জরিপে রেকর্ডভূক্ত ছিল। যেহেতু কমিটি দ্বারা সুষ্ঠভাবে সেবা রক্ষণাবেক্ষণ সংস্কার ও পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি বিধায় উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে উক্ত আশ্রমের সকল প্রকার দায় দায়িত্ব রাধাকুঞ্জ বিহারী গৌড়াঙ্গ মঠ (শ্রীচৈতন্য অপ্রাকৃত সংঘ) এরঅনূকুলে হস্তান্তর করলেন, এবং গুরুমহারাজের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলিয়া ঘোষণাপত্র দলিল লিপিবদ্ধ করে দেন। ওই কাগজে সই করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন ঘোষ। দলিলে স্বাক্ষী থাকেন, প্রবীর রঞ্জন দাস, হেমন্ত চন্দ্র পাল, নিবাস দাস, দীপক ভট্টাচার্য, নিরঞ্জন কুমার দেব, প্রমুখ। ০৮/০১/২০০৯ সালে লিখিত ভাবে দলিল সম্পাদনে রাধাকুঞ্জ বিহারী গৌড় মঠ (শ্রীচৈতন্য অপ্রাকৃত সংঘ) এবং সভাপতি শ্রীমৎ ভক্তি প্রপন্ন যতি গোস্বামী মহারাজের নিকটে হস্তান্তর করেন।
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : West World Shopping City (7nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
Web : www.SylhetNewsWorld.com