বিড়ম্বনার শিকার সিলেট থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুরা

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, |                          

বিদেশগামীদের করোনা ভ্যাকসিন নেয়া বাধ্যতামূলক। সৌদি আরব ও দুবাইগামীদের ইংল্যান্ডের তৈরি ভ্যাকসিন ছাড়া গ্রহণ করে না। ফলে বিদেশ গমনেচ্ছুরা এখন ভ্যাকসিনের জন্য সিরিয়াস।

কিন্তু সিলেটে করোনা ভ্যাকসিনের নিবন্ধনে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার বিদেশ গমনেচ্ছুরা।

শুক্রবার সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে গেলেও সংশ্লিষ্টরা হাজির হয়েছেন ১১টায়!

এতে সকাল ৯টার পরিবর্তে নিবন্ধন শুরু হয় বেলা ১১ টার পর। তবে বিলম্বে অফিসে হাজিরের বিষয়টি অস্বীকার করছেন সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মর্তারা। তাদের দাবি, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে বিলম্বে নিবন্ধন শুরু করা হয়েছে।

সরকার ঘোষিত নিয়মানুযায়ী, বিদেশগামী কর্মীদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক।
এজন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয় বিকাশের মাধ্যমে ২০০ টাকা ফি দিয়ে।

এরপর কঠোর লকডাউনের মধ্যেও শুক্রবার সকাল ৯টায় নিবন্ধনের লক্ষ্যে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে হাজির হন। অফিসে গিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ দেখে অনিশ্চয়তায় পড়েন দূর দূরান্ত থেকে আগতরা।

অবশেষে ওই অফিস খোলা হয় বেলা ১১ টার দিকে। এ নিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ বিদেশ গমনেচ্ছুরা। নাম প্রকাশ না করে এমন অভিযোগ করেন কয়েক বিদেশ গমনেচ্ছু। তাদের অভিযোগ, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কঠোর লকডাউন এড়িয়ে সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তারা ওই অফিসে গেলেও তাদের নিয়ে তামাশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মীর কামরুল হোসেনের দাবি, ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া দেরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা ১১ টায় নয়, এর আগেই অফিসে ছিলেন। তিনি বলেন, কার্যালয়ে স্থান সঙ্কট থাকায় এবং করোনাকালীন সময়ের নিরাপদ দূরত্বের কারণেই গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নির্দেশে সিলেটসহ দেশের ৪২টি জনশক্তি অফিস, ৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ১টি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে অথবা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে বিএমইটির এই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে।