সিলেট ২৭শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১
করোনা মহামারি প্রতিরোধে জনগণের সেফটি সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখেই লকডাউন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় আছে, অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে সব কারণে লকডাউন দেয়া হয়েছে সেটা আপনারা জানেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, করোনার প্রণোদনা প্যাকেজগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সবগুলো প্যাকেজই প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ও পরিকল্পনায় হয়েছে। তিনিই সেসব করে দিয়েছে। আমরা শুধু তার হয়ে এগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
বিশ্বব্যাংকের প্রজেকশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক অথবা আইএমএফ বিভিন্ন দেশের জন্য প্রজেকশন করে থাকে, টাইম টু টাইম। বিশ্বব্যাংক আমাদের সম্পর্কে বেশ উচ্ছ্বসিত ধারণা দিলো, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল আছে আমাদের? মূলত আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন যাতে আরো বেশি বেশি করতে পারি এবং আমাদের পলিসি পারসপেকটিভে আইডিয়া ছিল সেগুলো বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা টাইম টু টাইম প্রজেকশন করি। কিন্তু তারা কিছু পসিবিলিটি ও অ্যাজামশনের উপর ভিত্তি কর প্রজেকশনটা করে।
এদিকে, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অপর একটি প্রস্তাবে পুনঃদরপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত ৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫৬৬ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ১৬০ টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মেসার্স পি কে অ্যাগ্রো লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪১১.৯৩ ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেই চাল ঠিকমতো দেশে ঢুকছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, চাল আমাদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ। কিন্তু সেখান থেকে যখন কোনো সাপ্লাইয়ার তা সময়মতো দিতে পারে না তখন আমরা এটাকে পরিবর্তন করে আরেক জায়গায় চলে যাই।
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : West World Shopping City (7nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
Web : www.SylhetNewsWorld.com