নোয়াখালীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণর্ধষণের পর হত্যা, প্রেমিক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ, |                          

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৬) গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মাইজদী রেললাইনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কিশোরী উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা প্রেমিক রায়হানকে (২১) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। রায়হান বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের ডা.আবদুল মোতালেবের ছেলে।

নিহতের পরিবার অভিযোগ, চরমটুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাকিবের (২০) সহযোগিতায় প্রেমিক রায়হান উদয় সাধুরহাট বাজার থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে কৌশলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে মাইজদী রেললাইনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে কথিত প্রেমিক রায়হানসহ একাধিক তরুণ মিলে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী কৌশলে তার বড় বোনকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। মেয়েটি ফোনে বলে, আপু আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

আমারে এখান থেকে নিয়ে যা। আমি মাইজদীর আশপাশে আছি। তবে একেবারে সঠিকভাবে বলতে পারবো না কোথায় আছি। আমি পরে তোদের সব বলব। এর পরেই ধর্ষণকারীরা নির্যাতিত কিশোরীর ফোন বন্ধ করে দেয়। ধর্ষণ শেষে তাকে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে। দুপুর দেড়টার দিকে অভিযুক্ত রায়হান ওই কিশোরীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে ওই কিশোরীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের স্বজনেরা রায়হানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

সুধারাম থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন বলেন, পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।