সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে নির্যাতন করে মেরে ফেললো স্বামী

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১ | আপডেট: ৫:১৬:অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

ঢাকার ধামরাইয়ে দাওয়াতে যাওয়া ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী ও শাশুড়ির মারধরে কামরুন্নাহার লক্ষী (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালের দিকে লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। নিহত কামরুন্নাহার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার মেয়ে।

অন্যদিকে মিজান মোল্লার বাড়ি ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা মধ্যপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম কালাচান মোল্লা।

নিহতের খালা বলেন, কামরুন্নাহার দাওয়াত খাওয়ার জন্য মায়ের কাছ থেকে প্রায় ৬/৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসেন। কিন্তু স্বামী মিজান মোল্লা দাওয়াত খেতে আত্মীয়ের বাড়ি যেতে অনিহা প্রকাশ করেন এবং অলঙ্কার আটকে রাখেন। এ নিয়ে এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে স্বামী মিজান ও তার সৎ মা বেদানা বেগম কামরুন্নাহারকে বেদম মারধর করেন।

‘মারধরের এক পর্যায়ে কামরুন্নাহার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং সোমবার দিবাগত গভীর রাতে সে মারা যায়।’

তিনি আরো বলেন, ৫ বছরের নাবালক ছেলে ছাদ মোল্লার সামনেই তার মায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন মিজান মোল্লা ও বেদানা বেগম। তাদের নির্যাতনেই মারা যায় কামরুন্নাহার।

এ ঘটনায় কামরুন্নাহারের বাবা আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মিজান মোল্লা পলাতক রয়েছে এবং তার সৎ মা বেদানাকে আটক করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রধান আসামি মিজান মোল্লা পলাতক রয়েছে।