থাইল্যান্ডে পালতোলা নৌকায় কোয়ারেন্টিন!

প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, |                          

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পর্যটনের দ্বার উন্মুক্ত করেছে থাইল্যান্ড। তবে পর্যটকদের জন্য ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তবে এই দুই সপ্তাহ তাদের আনন্দেই কাটবে। সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে।

দর্শনার্থীরা চাইলে বিলাসবহুল ইয়ট বা পালতোলা নৌকায় কাটাতে পারবে। তবে সঙ্গে করোনা নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। আর টিকা নেওয়া থাকলে কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই।

বিবিসি জানায়, সোমবার থাই সরকার এক ঘোষণা জানায়, দেশটিতে কেউ ভ্রমণ করলে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করে যেতে হবে। অন্যথায় করোনা নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন কাটাতে হবে। আর তাদের আবাস হবে সাগরের পালতোলা নৌকা বা ছোট্ট জাহাজে।

ইতোমধ্যে নতুন উদ্যোগটির ট্রায়ালও শুরু করে দিয়েছে থাইল্যান্ড। কমপক্ষে ১০০ নৌকা এরই মধ্যে নামানো হয়েছে। এখানে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রত্যেকের কব্জিতে একটি করে স্মার্ট ডিভাইস পরিয়ে দেওয়া হবে, যেটি তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে।

সেইসঙ্গে তাদের শরীরে তাপমাত্রা ও রক্তচাপ সম্পর্কে তথ্য দেবে। ডিজিটাল এই ডিভাইসটি সমুদ্রের ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে থাই সরকার।

থাইল্যান্ডের অর্থনীতির অনেকটাই পর্যটননির্ভর। করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই পর্যটন খাত। করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার আসত। মহামারির পর তা কমে দৈনিক কয়েকশতে দাঁড়ায়।

পর্যটনকে আবারও জাগিয়ে তুলতে ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং নিচ্ছে সরকার। প্রত্যাশা, নতুন উদ্যোগের ফলে নৌ-শিল্প পর্যটনে ১.৮ বিলিয়ন বাথ বা ৫৮ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব জোগান দেবে।

গত বছরে মার্চ থেকে লকডাউনে চলে যায় থাইল্যান্ড। এরপর অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে বিদেশিদের জন্য পুনরায় খুলতে শুরু করে। গত জানুয়ারিতে গলফ মাঠে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করেছিল দেশটি।

আগামী এপ্রিল বা মে থেকে পর্যটন শহরগুলোর হোটেল-রিসোর্টে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার কথাও ভাবছে। তবে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভ্রমণ করলে কাউকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না বলে নিশ্চিত করেছে থাই সরকার।