মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে কূটনীতিকদের হৈ চৈ করার কিছু নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, |                          

কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ এবং তদন্তের আহ্বান সম্বলিত ১৩টি দেশের কূটনীতিকদের যৌথ বিবৃতির কড়া সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি আজ বলেন, এ নিয়ে কূটনীতিকদের হৈ চৈ করার কিছু নেই।

ামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ একটা তাজ্জবের দেশ। একজন মারা গেলে সে কি কারণে মারা গেছে আমরা জানি না! বিদেশিরাও এটা নিয়ে খুব উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দেশের লোক করুক, এটা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বিদেশিরা এতে মাতব্বরি করবেন কেন? গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৩টি দেশের বিদেশি কূটনীতিকরা যৌথ বিবৃতি দেন। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে,স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের কূটনীতিকরা স্বাক্ষর করেন। সেই বিবৃতিতে কূটনীতিকরা মুশতাকের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি তারা মৃত্যুর দ্রুত, স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার আহ্বান জানান। কূটনীতিকদের সেই বিবৃতি প্রচার করায় গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, আপনারা মিডিয়াও এটাকে কাভারেজ দেন।

আমরা যদি বিদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করি, কোনো বিদেশি মিডিয়া পাবলিসিটি দেয় না। এজন্য কেউ উদ্বেগও প্রকাশ করে না। এই যে সম্প্রতি বিদেশে রাষ্ট্রদূত মারা গেল তা তো আমেরিকান মিডিয়া এনটারটেইন করে না, করবেও না। বাংলাদেশেও এগুলো সব বর্জন করা উচিত। কূটনীতিকদের বিবৃতিতে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দূতাবাসগুলোতে কোনো বার্তা দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারিভাবে কোনো মেসেজ দেব না।