আখাউড়ায় ভোটিং মেশিন বাইরে, নৌকায় ওপেন ভোট

প্রকাশিত: ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, |                          

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বাইরে। ফিঙ্গারের পরই দায়িত্ব শেষ ভোটারের। এরপর নৌকার বাটন চেপে দিচ্ছেন কেন্দ্র দখলকারীদের কেউ একজন। ইভিএম ভোটের এই চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভায়। ভোট শুরুর আধাঘণ্টা পরই কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তার এজেন্টরা বিভিন্ন কেন্দ্রে যাওয়ার পরই কেন্দ্র থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়। নাজেহাল করা হয়। একই অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আবদুর।

সকালে একটি কেন্দ্রের বাইরে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এদিকে সরজমিনে ১১টি কেন্দ্রের সবকটিতে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা গেছে। বহিরাগতদের দখলে ছিলো সবকটি কেন্দ্র। নির্বাচন প্রশাসনকে একেবারেই নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হক ভূইয়া অভিযোগ করেন, দুটি কেন্দ্রে
তার ছেলে ও মেয়ে এজেন্ট ছিলেন। তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই দানিছ এসব ঘটনা করেন।
রোববার সকাল ৮টা থেকে আখাউড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু বলেন, আমার কোনো এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। নৌকা প্রতীকে সব ভোট নিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনকে বলার পরও আমাদের কথা শুনছে না। আমরা প্রার্থী হিসেবে কোনো কিছুই করতে পারছি না। একটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ফিরে দেখি কে বা কারা আমার গাড়ি কাঁচ ফাটিয়ে দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাকজিল খলিফা বলেন, ‘অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা পরাজয় জেনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’

আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহুরুল আলম বলেন, আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও সংরক্ষিদ নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাহার ৯০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ২৩০ ও নারী ভোটার ১৪ হাজার ৬৭২ জন।