জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল রাজনৈতিক কারণে নয়: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১ | আপডেট: ২:৩৪:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ চলে যেতে সহযোগিতা করেছে, উচ্চ পদে পদায়ন করেছে জিয়াউর রহমান। দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে শাহ আজিজ, আবদুল আলিমসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে নিজের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মোশতাক-জিয়া, তারাতো শাস্তি পায়নি। মৃত্যু হলে কোনো আইনে আদালতে শাস্তির রায় ঘোষণা হয় না। কারো মৃত্যু হলে সে যদি আসামি থাকে তবে আদালত তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের ব্যাপারে রায় দেয়।

বুধবার সকালে গাজীপুরের কালামপুর রোডে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনের নামে নামকরণ ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের চারজনের সনদ, সম্মাননা বাতিল হয়েছে এবং একই মিটিংয়ে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেকের নাম এসেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত দালিলিক প্রমাণসহ। বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা ছিল, কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে, সেগুলো পেশ করার জন্য আমরা একটি উপকমিটি করেছি আগামী মিটিংয়ে পেশ করার জন্য। দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের যে সম্মানসূচক পদবি রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। সেটার নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, বহির্বিশ্বেও রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণে নয়।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে বহু নজির রয়েছে যে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মানসূচক খেতাব বাতিল হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুব আলম চাষীসহ এমন অনেকের নাম এসেছে, তাদের কী ভূমিকা? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা কী? তার দালিলিক প্রমাণসহ পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শুধু আলোচনা হয়েছে, আমরা একটি উপকমিটি করে দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ করিব, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ওহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ৪২টি সড়কের নাম ফলক উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হকের নামেও একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।