বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, |                          

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সারা দুনিয়ায় দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং লবিস্ট নিয়োগ করেছে। দেশের রপ্তানি ও উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং দেশের সুনাম যাতে ক্ষুন্ন হয় সেজন্য বহির্বিশ্বে কাজ করছে তারা।

যারা পয়সা খরচ করে বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় তাদেরকে দেশদ্রোহী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য না দেয়ার জন্য ও সাহায্য পুনর্মূল্যায়নের জন্য। একটি দলের মহাসচিব কিভাবে এটা পারেন; বলেও তিনি প্রশ্ন রাখেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের কারণে দেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি জামায়াত তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত। যে কারনে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।

দলের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের ভাগিদার দেশের জনগণ। কিন্তু এই সাফল্য তরুণ নেতাকর্মীদের ঔদ্ধত্যপুর্ন আচরণে মাঝে মাঝে ম্লান হয়ে যায়। এসময় তিনি তরুণ নেতাকর্মীদেরকে ক্ষমতায় থাকাকালীন আরও বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ফেসবুকে তুলে ধরার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হচ্ছে সেটি বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে। শুধু সেলফি তুলে ফেসবুকে দিলে হবে না। দেশের সাড়ে ৮ কোটি মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করে। গাড়িতে, বাসে, ট্রেনে এমনকি বাথরুমে বসেও ফেসবুক দেখে। সুতরাং আমাদের এই মাধ্যমটাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশবিরোধী বা সরকারবিরোধীপক্ষ ফেসবুকে অপপ্রচার চালালে আমাদের উচিত সেগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরা।

হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংলাপের আয়োজন করেছেন। সেই সংলাপে অনেক রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। বিএনপি যায়নি। কারণ বিএনপি ‘না’ রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে। সব কিছুতে না। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও না।

তিনি বলেন, তবে বিএনপি বেনামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। জাতীয় পার্টি তো স্বনামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। তারা হাতেগোনা কয়েকটায় জয়ী হয়েছে। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ বেশির ভাগ বিজয়ী হয়েছে। সেটা দলের হোক বা বিদ্রোহী হোক। বিদ্রোহী যারা তারাও আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ইউপি নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের বিকল্প আওয়ামী লীগ। বিএনপি বা অন্য কোনো দল নয়। চলমান ইউপি নির্বাচনে যেখানে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে, সেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। আর যেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে সেখানে দ্বিতীয় হয়েছে দলীয় প্রার্থী। এতে প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগের বিকল্প আওয়ামী লীগই।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।