রেজাউল করিম বাবলুর সংসদ সদস্য পদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, |                          

ছেলে ও মেয়ে উভয়েই চাকরিজীবী হলে তাদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করতে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। সংসদে এমন প্রস্তাবে বিস্ময় প্রকাশ করে মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল তার সংসদ সদস্য পদ থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

শনিবার রাতে একুশে টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন ফারজান রূপা।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘রেজাউল করিম বাবলুর ওই প্রস্তাব মানবাধিকার ও সংবিধান বিরোধী উল্লেখ করে তা নাকচ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আমি আইনমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘আমরা উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করছি এ জন্য যে, আইন প্রণয়নের দায়িত্ব নিয়ে যারা সংসদে বসেন। তারা সংবিধানটা হাতে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন যে, সংবিধান রক্ষার জন্য তারা এই দায়দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। তারা কি একবারও সংবিধানের পাতাটা উল্টে দেখেন না যে, সংবিধানে কী আছে। কোন নির্দেশনা সেখানে দেওয়া আছে, কী বলা আছে।’

সুলতানা কামাল বলেন, ‘যে কথাটা আজকে একজন সংসদ সদস্যের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এসেছে। সেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। তিনি সংসদে কথা বলার সুযোগ পেয়ে এমন একটি কথা বললেন, যেটি একজন সংসদ সদস্যের জন্য অত্যন্ত বেমানান, অগ্রহণযোগ্য। আমি আমাদের জন্য শঙ্কার কথাটি ব্যবহার করছি এ জন্য যে, যারা আমাদের জীবন পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের চিন্তার মধ্যে যদি এ ধরনের ভাবনা থাকে। যারা সংসদে যাচ্ছেন সংবিধানটাকে রক্ষা করার জন্য, জনগণকে সংবিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য, সহজ করে দেওয়ার জন্য; তারা যদি তার বিপরীতে আইনের প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তাহলে ক্ষোভের সঙ্গে বলতে হয়, তার সংসদ সদস্য পদ থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’

এ সময় অন্য অতিথিরাও রেজাউল করিম বাবলুর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা বলেন, বাবলু বাইচাঞ্চ এমপি হয়েছেন। নানা অঘটন সংসদে ঘটাচ্ছেন। আজকের বক্তব্য অবান্তর, অসাংবিধানিক। মানবাধিকার ও প্রগতিবিরোধী বক্তব্য। এ ধরনের বক্তব্য যেন আর না বাড়ে সে জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।’