মৃত্যু কমেছে এটাই স্বস্তিদায়ক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ | আপডেট: ৪:১৫:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১

গত সপ্তাহে করোনায় মৃতের সংখ্যা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৯৮ জন বা ৪১ শতাংশ কমেছে। দেশে গত সপ্তাহে ৬৮২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান। তারপরও বলবো এটাই স্বস্তিদায়ক পরিসংখ্যান। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

গত সপ্তাহে দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, করোনা থেকে সুস্থ হওয়া এবং মারা যাওয়ার পরিসংখ্যান বুলেটিনে তুলে ধরেন অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, গত সপ্তাহে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯১টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ কম। পরীক্ষা কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৬৮৮ জন, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬ হাজার ৮৮০ জন কম।

সামগ্রিকভাবে দেশে করোনা সংক্রমণের নিন্মমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গত এক সপ্তাহ ধরে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সর্বশেষ ৩১শে আগস্ট শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১২ শতাংশের খানিকটা নিচে আমরা অবস্থান করছি।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্ত নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে যাচ্ছে।

এর প্রমাণ হিসেবে তিনি জানান, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যেখানে রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৭ জন, জুলাই মাসে সেখানে রোগী সংখ্যা হয় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। তবে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আগস্ট মাসে নতুন শনাক্ত কমে এসেছে। আগস্টে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন ।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত সপ্তাহে জেলা ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায়, এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম। নোয়াখালী জেলায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি জানান, দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে। এরপর রয়েছে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা, তারপর মারা গেছেন ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা।