একশ ‘ভুতুড়ে পত্রিকার’ ডিক্লেয়ারেশন বাতিল হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, |                          

একশ ‘ভুতুড়ে পত্রিকার’ ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, গত দুই বছরে ৪৫০টি পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন দেয়া হয়েছে।কিন্তু পত্রিকাগুলোর এক কপিও বের করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

একইসঙ্গে পত্রপত্রিকার সংখ্যা ৪৫০ ছিল, সেখান থেকে ১ হাজার ২৫০ হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনলাইন গণমাধ্যম। যেসব পত্রিকা ডিক্লেয়ারেশন নিয়ে সেই অনুযায়ী পত্রিকা বের করে না, সেগুলোর ডিক্লেয়ারেশন রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।

পত্রিকাগুলো সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব পত্রিকা গত দুই বছরে একটি কপিও বের করেনি আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তারা বিভিন্ন সাংবাদিকদের নিয়োগ দেয়, একটা কার্ড দেয় কিন্তু তাদের কোনো বেতন দেয় না। এগুলো হচ্ছে ‘ভুতুড়ে পত্রিকা’। বেতন না পেয়ে তারা চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়, আর সেই বদনাম সাংবাদিক সমাজের ওপর পড়ে। এ জন্য এসব ভুতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ১০০টি পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করার জন্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছে নাম পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের বিকাশ ও সাংবাদিক সমাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে কাজ করেছেন সেটি অন্য কোনো সরকার করেনি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা দেখতে পাই, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের জন্য যে ব্যবস্থাগুলো ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে, আশেপাশের দেশে তা করা হয়নি। যারা বড় বড় কথা বলেন এবং দলাদলি করেন, তারা কিন্তু এই কাজগুলো করেননি।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৭টির মতো টেলিভিশন চ্যানেল, দুই একটি আরও অনএয়ারে আসবে খুব শিগগিরই। এতগুলো প্রাইভেট চ্যানেলের কারণে কিন্তু অনেকগুলো কর্মসংস্থান হয়েছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান প্রমুখ।