শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি করছে সরকার: ফখরুল

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, |                          

দেশের সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেল কঠোর লকডাউন। এখন খুললাম-যে যেমন খুশি চলো। হাজার হাজার মানুষ একসাথে চলা ফেরা করছে।দেশের সবকিছুই চলছে।শুধু একটা জিনিসই চলছে না এটা হচ্ছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শিক্ষা না পায় সেই ব্যবস্থা করছে সরকার।

ফখরুল বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই করোনা থেকে রক্ষায় একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেমন তারা ভ্যাকসিনেশনের জন্য পরিকল্পনা করেছে, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জীবন-জীবিকার পরিকল্পনা করেছে এবং একই সঙ্গে কীভাবে শিক্ষা দেয়া যায় সেটার জন্যও পরিকল্পনা করেছে। আমাদের এখানে কোনো ধরনের পরিকল্পনা নাই। এই যে একটা ভয়ংকর ক্ষতি করছে প্রজন্মের।

অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনলাইনে কারা পড়ে? একমাত্র যারা বিত্তশালী তারাই অনলাইনে পড়াশুনা করতে পারে, আর তো কারও পক্ষে সম্ভব নয়। একটা কম্পিউটার যোগাড় করা, একটা মোবাইল সেট যোগাড় করা, সারা দেশে সেটা নেইও। গ্রামে স্কুল যেগুলো আছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। পত্রিকায় দেখেছেন যে, ছেলেরা এখন বেলুন বিক্রি করছে, বাদাম বিক্রি করছে। স্কুল বন্ধ, এখন তারা বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য এগুলো করছে। অর্থাৎ দে হ্যাভ বিন অলরেডি ডাইভার্টেড।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই যে একটা ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, সেই ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। তারা আছে শুধু বিভিন্ন রকম ভুল ব্যাখ্যা ও তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির পরিচালিত কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য ওষুধ সামগ্রী হস্তান্তর উপলক্ষে জিয়া পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।