আফগান জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২১ | আপডেট: ৫:১২:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২১

আফগান জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজোয়া। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের পাশে থাকবে পাকিস্তান। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দেশটিতে একটি স্থিতিশীল সরকার জরুরি। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়। এর আগে, গত রবিবার তালেবান কাবুল দখলের পর আফগান ওই প্রতিনিধিদলটি ইসলামাবাদ চলে আসে।

এদিকে, তালেবান নেতা ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি জানিয়েছেন, নতুন আফগানিস্তানে গণতন্ত্রের কোনও জায়গা থাকবে না। তালেবান শাসনে মূলত শরিয়া আইনের ওপরেই গড়ে উঠবে শাসন ব্যবস্থা। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।
তবে সেই ব্যবস্থা গত তালেবান শাসনের মতো হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করেননি হাশিমি। অদূর ভবিষ্যতে তা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কাউন্সিল তৈরির বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত তিনি।

তার বক্তব্য, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা সুপ্রিম লিডার হিসেবে সরকারের প্রধান হবেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন না। প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে আখুন্দজাদার ডেপুটিদের। এই মুহূর্তে আখুন্দজাদার তিনজন ডেপুটি আছেন।

মোল্লাহ ওমরের ছেলে মৌলভি ইয়াকুব, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি এবং দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান আবদুল গনি বারাদার। মঙ্গলবার বিশ বছর পর তিনি কান্দাহারে পা রেখেছেন।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, তালেবান যে নতুন সরকার গঠন করতে চলছে, তার মডেল হবে খানিকটা ইরানের মতো। সুপ্রিম লিডারের কাছে সকলে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। তার নীচে থাকবেন প্রেসিডেন্ট এবং তার নীচে কাউন্সিল।

অন্যদিকে তালেবান মনে করছে, আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের মিশিয়ে একটি নতুন সেনাবাহিনী তৈরি করা দরকার। বস্তুত, তালেবান গেরিলা যুদ্ধে পারদর্শী হলেও তাদের কোনও বিমান বাহিনী নেই। তালেবান পাইলটও নেই। ফলে আফগান বাহিনী থেকেই বিমানবাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সারেন্ডার করা আফগান সেনাদের থেকেও দক্ষ অফিসারদের নতুন বাহিনীতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।