‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি’

প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, |                          

ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা থেকে নওগাঁর পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পিছনে জাতীয় বেইমান খন্দকার মোশতাক ও মাস্টারমাইন্ড হিসেবে জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। শুধু তাই নয় যারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল ক্ষমতায় আসার পর তাদের গাড়িতেই রক্তে রঞ্জিত লাল-সবুজ পতাকা তুলে দেয়া হলো।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৯ মাসের যে সংবিধান দিয়েছিল ক্ষমতায় আসার পর সেই সংবিধানকেও টেনে ছিঁড়ে ফেলে ইনডেনমিটি আদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে আদেশ জারি করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত নিতে দেয়া হয় নাই। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছে। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর এই বিচার কার্যক্রম শেষ করেছেন। এছাড়াও বিদেশে যারা পালিয়ে আছে তাদেরকেও দেশ এনে বিচার করা হবে বলে জানান তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে ধর্মীয় উগ্রতা থাকবে না, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দূর করা, ধর্মীয় ও অন্যান্য বৈষম্য দূর করে সকলকে একটি প্লাটফর্মে এনে বাঙালি প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা। সেই দর্শনের ধারবাহিকতায় তিনি যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়েছিলেন, তিনি যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছেন, তখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আমার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছি। আর আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান কারণ বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি, তিনি এ জাতির দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সকল বাধা উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালির জাতির পিতার আসনে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের ফসল এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাই এদেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান

সভায় তিন উপজেলার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।