প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রতিবেদকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২১ | আপডেট: ২:৪৭:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২১
??????????????????????????????????????????????????????

ঝিনাইদহের একটি আদালতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৮ আগস্ট) কালীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। যার মামলা নং কালী সিআর-৮৬/২১।

মামলার অন্য দুইজন আসামি হলেন প্রথম আলো পত্রিকার ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ রহমান ও কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। ভার্চ্যুয়ালি আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদিদের প্রতি সমন জারি করেছেন এবং আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন। এদিকে সাংবাদিকদের নামে সংসদ সদস্যের মানহানি মামলা করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদহের সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

বাদী সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার তার নালিশীর বিবরণে উল্লেখ করেছেন, গত ৬ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় “মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ নিয়ে সাংসদের আপত্তি, ১৪ মাস বেতন বন্ধ শিক্ষকদের” শিরোনামে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে তার রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তি জীবনের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে যা অর্থ দ্বার পূরণের যোগ্য নয়। উপরোক্ত বাদীর ৫ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সংসদ সদস্যের দাবি, তথ্য যাচাই বাছাই না করেই তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিবাদীরা সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

এমপি আনার মামলার আরজিতে আরো উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট থেকে এই ৩৫ মাস তিনি অফিসিয়াল বা আন-অফিসিয়ালি কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয়। ফলে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া বা কলেজে প্রবেশে বাধা প্রদান করার খবরটি সত্য নয়। তাছাড়া খবরে ২০ জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রদানের বিষয়টিও অসত্য ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার আরটিভি নিউজকে বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি। জনগণের ভোটে পৌর কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার রাজনৈতিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমাকে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আদালতে পাঁচ কোটি টাকার মনহানির মামলা করেছি।