শেষ মুহূর্তে ভোগান্তি নিয়ে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ

প্রকাশিত: ২:২৮ অপরাহ্ণ, |                          

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শত প্রতিকূলতা এড়িয়ে শেষ মুহূর্তে পরিবার পরিজন নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ।

করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকি উপেক্ষা করে দূরপাল্লার গণপরিহনসহ নানা পন্থায় গ্রামমুখি হচ্ছেন তারা। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন উপায়ে মানুষজন বাড়ি যাওয়ার উপায় খুঁজছেন। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে প্রতিটি সিটেই যাত্রী বসানো হচ্ছে, ভাড়াও আগের চেয়ে কিছুটা বেশি। তবে গত কয়েকদিনের চেয়ে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) মানুষের ভিড় একটু বেশি।

দুপুরে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে এসব এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি বেশিরভাগ মানুষদের।

গাবতলী থেকে আতিক নামে এক যাত্রী বলেন, বেসরকারি চাকরি করছি। দুপুর ১ টায় বাস ছিলো। সে বাস পেলাম সন্ধ্যায় ৬ টায়। কখন বাড়ি যাওয়া হবে সেটা জানি না। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার যানজট। হয়তো পৌঁছাতে পৌঁছাতে কাল দুপুর হয়ে যাবে। তবু পরিবারের ঈদ করতে হবে সেটাই বড় কথা।

গাবতলী থেকে আরিফ নামে এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মূলত আজই দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছি। পরিবারকে আগে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। ঈদের পর কঠোর লকডাউনে কারণে দোকান বন্ধ থাকবে। তবুও গ্রামের বাড়িতে ঈদ আনন্দ উদযাপনে করতে গেলে আলাদা একটা মজা আছে। যতটুকু শুনেছি, রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ছিলেন বৃদ্ধা আসমা বেগম, শিশু নয়ন এবং শিশুর মা আনজুম আরা বেগম। তারা জানিয়েছে, আমরা সুনামগঞ্জ যাব, বাসের টিকেট কেটেছি কিন্তু এখন বাসের দেখা মিলেনি। বারবার কাউন্টারে গিয়ে কথা বললে তারা বলে বাস চলে আসবে। খালি বলে অপেক্ষা করতে। এ অপেক্ষা কখন শেষ হবে সেটা জানি না। টানা ৩ ঘণ্টা বসে আছি। টিকেট পেতে অনেক ভোগান্তি পেতে হয়েছে। তবুও বাড়ি ফিরতে হবে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ব্যবসায়ী সোহেল জানিয়েছে, বিকেলে ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। বাস ছাড়ার কথা ছিলো সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। কিন্তু এখনো মিলেনি বাস। মহাসড়কে যানজটের কারণে এখনো গাড়ি টার্মিনালে আসতে পারেনি। জানি না কখন আসবে।

জসিম উদদীন নামে এক যাত্রী বলেন, যাচ্ছি তো আনন্দেই, কিন্তু সেই আনন্দ নিয়ে ফিরতে পারবো কিনা জানি না। কারণ ঈদের পরদিন থেকেই কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। ঈদ করে পরের দিনই ফেরার চেষ্টা করতে হবে।

অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন বিকেলের বাস এখন রাত হল তবুও বাসের দেখা মিলছে না। তবে যাত্রীদের আশা পরিবারের কাছে গেলে সকল কষ্ট শেষ হয়ে যাবে।