রূপগঞ্জ ট্রাজেডি: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, |                          

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজে (সেজান জুসের কারখানা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক আবুল হাসেম ও তার ছেলে সজিবসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আবুল হাসেমের চার ছেলে হাসিব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীমও রয়েছেন।

গ্রেপ্তার অন্য ৩ জন হলেন- প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহান শাহ আজাদ, হাসেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও এডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।

রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার বলেন বলেন, চেয়ারম্যান ও এমডি সহ আমরা ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ২ টার দিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের তদন্তে কারখানা মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও শ্রমিক নিহত প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

তিনি বলেন, জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার?

আবুল হাসেম আরো বলেন, আমি তো আর যেয়ে আগুন লাগিয়ে দেইনি। অথবা আমার কোনো ম্যানেজার আগুন লাগায়নি। শ্রমিকদের অবহেলার কারণেও আগুন লাগতে পারে।

কারখানাটি ইনস্যুরেন্স করা আছে উল্লেখ করে আবুল হাসেম বলেন, যে কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটির ইনস্যুরেন্স করা আছে। ভয়ের কারণ নেই। ইনস্যুরেন্সের টাকায় কারখানা দাঁড় করানো যাবে না ঠিক, তবে পরিশ্রম করে আমাদের দাঁড় করাতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫২ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।