সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম দুর্নীতি কে তুলে ধরার জন্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী করতে গিয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আটক করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং তথ্য চুরির বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকতাদের বরখাস্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিও জানানো হয়।
২৩ মে বেলা ২টায় লন্ডনে আরটিএন বাংলা টিভির সিইও নুরুল আমিন তারেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সময় সম্পাদক কবি ও কথাসাহিত্যিক সাঈদ চৌধুরী। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অথিতি হিসেবে আলোচনা করেন বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (বিবিসিসিআই) সভাপতি বশির আহমদ, ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব সভাপতি সাংবাদিক-কলামিস্ট কেএম আবুতাহের চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক ও আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ।
বিভিন্ন মিডিয়া থেকে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ইউকে বাংলা টিভির সিইও তৌফিক আলী মিনার, জালালাবাদ টিভির সিইও আনোয়ার শাহজাহান, মুক্তবাংলা টিভির চেয়ারম্যান সারওয়ার হোসাইন, পিবি টিভির ডিরেক্টর দেলোয়ার হুসেন শিবলী, এমএস টিভির চেয়ারম্যান মুসলিম খান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ইভেন্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম মৃধা, ইউকে বাংলা প্রেসক্লাবের ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, চ্যানেল এস প্রতিনিধি ও প্রথম আলোর সাবেক ইউকে প্রতিনিধি সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া, আল আরাফাহ টিভির সিইও আনোয়ার হোসেন ও প্রতিনিধি সামরান সাবের, ইউকে কসবা টিভির সিইও সৈয়দ মাসুক, একুশে জার্নালের সিইও মাশরুর আহমেদ বুরহান, এমএএইচ টিভির নাসির উদ্দিন, এসএ টিভির আনিসুর রহমান, ৫২ টিভির এম এ জামান, হাওয়া টিভির সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান শাহনুর, বৃটিশ বাংলা অনলাইন টিভির চেয়ারম্যান জামাল আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক রোজিনা শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন। এটা জাতির জন্য অপমানকর। তারা মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, কারা অন্তরীণ অন্য সকল সম্পাদক ও সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
বক্তারা সাংবাদিকদের সুদৃঢ় ঐক্যের গুরুত্বারোপ করে বলেন, দলমতের উর্ধ্বে ওঠে সাংবাদিক সমাজকে এই বাধা মোকাবেলা করতে হবে। দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, লেখক মুশতাক আহমদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর সহ অতীতে বাংলাদেশি সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টিভি উপস্থাপক ও লেখকদের আটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে আজকে এই অবস্থা হতনা।
অনলাইন টিভি ক্লাব ইউকের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীন সংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহ সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে।
বক্তারা বৃটিশ প্রবর্তিত ৯৮ বছরের পুরাতন কলোনিয়াল (উপনিবেশিক) আইনের সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এই আইনে কারো বিরুদ্ধে মামলা হয় নাই। এই আইনটি করা হয়েছিল মূলত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ব্যাপারে, যাতে তারা রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য পাচার করতে না পারে। ভারত ও পাকিস্তানের ইতিহাসে এই আইনে শুধু মাত্র শত্রু রাষ্ট্রের হয়ে স্পায়িং করার দ্বায়ে মামলা হয়েছে। এখন সে আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাকে এখনই থামিয়ে দিতে হবে।