
বাংলাদেশের নুতন পাসপোর্টে ইসরাইলে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা কথা ‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ কথা গুলি মুছে দেয়া হয়েছে। আর এতেই মহাখুশি ইসরাইল। এতে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর টুইট করে জানিয়েছেন ‘গ্রেট নিউজ’।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সিদ্ধান্ত তো দূরের কথা, আগে থেকে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এমনটা ঘটায় সবাই অবাক হয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর্যন্ত ইসরায়েলের ব্যাপারে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যে অবস্থান ছিল, সেটা কি পাল্টে যাচ্ছে?
বাংলাদেশের পাসপোর্টে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ (এই পাসপোর্ট বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য কার্যকর থাকবে, শুধু ইসরাইল ছাড়া)। বলা যায়, এটা বাংলাদেশের পাসপোর্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এবার সেখান থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দদ্বয় তুলে নেয়া হয়েছে!
সদ্য বিদায়ী ঈদুল ফিতরের পর পাসপোর্ট তুলতে গিয়ে হঠাৎ করেই বিষয়টি টের পান রাকিব (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ঈদের আগে আমার নিজের পাসপোর্ট তুলেছি, তখন সেখানে ওই বিশেষ কথাটা ঠিকভাবেই লেখা ছিল।
‘কিন্তু ঈদের পর মা এবং ছোট ভাইয়ের পাসপোর্ট তোলার পর দেখলাম ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ কথাটা নেই। এ নিয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, এতে কোনো সমস্যা হবে না। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।’ বলেন রাকিব।
এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইসরায়েলের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান একই আছে। বাংলাদেশ এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। একই সঙ্গে আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দবন্ধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
একই ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ভালো জানি না। কেন ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ তুলে নেওয়া হলো, এর উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। সরকার এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও আমার জানা নেই।