ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৪

ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিবার, নিজ ও ইতালি প্রবাসী নাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মানিক মিয়া ও তাঁর পরিবার। বুধবার বিকাল ৫টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন বাঘেরকোনা গ্রামের নিজ বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যবসায়ী মানিক মিয়া। বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আবদুল মজিদ পারিবারিক সূত্রে আমার ফুফাত ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সাথে আমার পরিবারের জায়গা সম্পর্কিত বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনাসহ এসব বিষয়ে উভয় পক্ষের ৩টি মামলা কোর্টে এখনও বিচারাধীন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে একাধিকবার এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকার পরও অভিযুক্ত আবদুল মজিদ উক্ত সমস্যা সমাধানে কোনো কর্ণপাত করেন নি। এরপর থেকে আমি এবং আমার পরিবারের মানহানি করার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্রমাগত অপপ্রচার করে আসছে আবদুল মজিদ। তার অপপ্রচার থেকে বাদ যায়নি আমার ইতালি প্রবাসী নাতি মেহেদী হাসান তারেকও। তার নানান অপপ্রচারের কারণে ইতোপূর্বে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। তবু সে কান্ত হয়নি। ইদানিং আরও বেশি অপপ্রচার করছে। তার এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এমন মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আইনী প্রক্রিয়া গ্রহণের সম্পূর্ণ প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সংবেদনশীল এই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজড়ে আনতে সকল প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে সম্মানিত গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মানিক মিয়া ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- শত্রুমর্দন বাঘেরকোনা গ্রামের বাসিন্দা, প্রবীণ মুরব্বী আবদুন নূর, আবদুল মতলিব, আবদুল বারিক খাঁ, মো. মোখলেছ মিয়া, মো. মদরিছ আলী, ফরিদ মিয়া। ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী মাসুক, শুকুর আলী, সারোয়ার হোসেন খাঁন লাহিম ও আরিয়ান ফয়সল। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ইয়াকুব শাহরিয়ার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জামিউল ইসলাম তুরান, সদস্য আলাল হোসেন, কূহিনুর রহমান নাহিদ ও নোহান আরেফিন নেওয়াজ।
অভিযুক্ত আবদুল মজিদ একটি মামলায় পলাতক রয়েছেন। তার বক্তব্য নিতে বার বার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ থাকার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ