এবার গণমাধ্যমের অপ্যব্যবহার করলেন আফসার খান সাদেক

প্রকাশিত: ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫

এবার গণমাধ্যমের অপ্যব্যবহার করলেন আফসার খান সাদেক

ডেস্ক রিপোর্ট:
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের পায়তারা, অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি শিরোনামে ৩ মার্চ সোমবার সিলেটের স্থানীয় কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও কয়েকটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছেন প্রবাসী জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, অতীতের মতো ভুল তথ্য দিয়ে এবার গণমাধ্যমের অপ্যব্যবহার করলেন আফসার খান সাদেক। এটা নতুন না, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। অতীতে একই জায়গা এবং বাসার মালিক ( আমার) বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন তার আপন ভাইকে দিয়ে আক্তার হোসেন খানকে দিয়ে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তার পক্ষে তার বোন আলেয়া খানম অতীতের মতো এই অভিযাগ করেন পুলিশ কমিশনার বরাবর। আর এই অভিযোগ দিয়ে এবার গণমাধ্যমকে বোকা বানালেন আফসার খান সাদেক।

অভিযোগে আমার বাসাকে, তার বাসা যুবলীগ নেতা মুকিত দখল করেছে, চাঁদা দাবি করছে ৫০ লাখ। এসব বলে চালিয়ে দিয়েছে।

সিলেটে আমার সম্পত্তি দেখার মতো কেউ নেই, সেই সুবাদে আফসার খান সাদেক আমার সম্পত্তি দখল করার জন্য এই পায়তারা করছে। বিষয়টি আমি আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে এসব অভিযোগ আমলে নেয়নি আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বিভিন্ন মানুষকে প্রবাসে বসে নিজের লোকদের দিয়ে হয়রানী করা অব্যাহত রেখেছেন।

সম্প্রতি সিলেট নগরীর কুমাড়পাড়ার ঝর্নার পাড়ের ঝর্না-৪২ নাম্বার আমার বাসা দখলের চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রশাসনের এক কর্মকর্তার সাথে আফসার খান সাদেকের ভাতিজা যুবলীগ নেতা মাহবুব লোহার পাইপ হাতে আমার বাসায় গিয়ে হামলা করেন।

আফসার খান সাদেক, একই বাসার দখল করেছে বলে অতীতে বিভিন্ন লোকদের দিয়ে অভিযোগ করেছিলো। বর্তমান সরকারের আমলেও এসব করছে।

আমার বাসায় জেলা যুবলীগ নেতা এম আব্দুল মুকিত ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয় দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছেন। দেশে আমাদের কেউ নেই। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাই বলে তাকে ইস্যু করে আমার বাসা দখলের পায়তারা করা হচ্ছে।

সিলেটের সাংবাদিকরা অভিযোগ পত্রে যা পেয়েছেন তাই তোলে ধরেছেন। তবে আমি মনে করি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে একটু খোঁজ খবর নেয়ার প্রয়োজন ছিলো। আমার বাসা কুমাড়পাড়ার ঝর্নার পাড়ের ঝর্না-৪২ , আমার জমির খাজনা, সিসিকের পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল এসব কি কিছু আমার নামে। আমি প্রবাসে থাকার সুবাদে আমার বাসা দখলের জন্য এবার আফসার খান সাদেক সিলেটের প্রশাসন ও মিডিয়াকে বোকা বানাচ্ছে এবং সে অবৈধ ফায়দা নিচ্ছে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনারা একটু খোঁজ খবর নিন, সঠিক তথ্য তুলে ধরতে আপনাদের প্রতি আমি আহবান জানাচ্ছি। এখানে কুমাড়পাড়ার ঝর্নার পাড়ের ঝর্না-৪৬ নং বাসা বলে কুমাড়পাড়ার ঝর্নার পাড়ের ঝর্না-৪২ নং আমার বাসা দখল করার পায়তারা করা হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ