কারাগারে যৌন নির্যাতনের শিকার হতেন সৌদি নারী সমাজকর্মী

প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, |                          

লুইজান আল হাথলাউল। সৌদি আরবের অতি পরিচিত নারী সমাজসেবী ও অধিকারকর্মী। আন্দোলন চালিয়ে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন লুইজান। জেলে নির্মম মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

৩১ বছরের এই যুবতীকে ২০১৮ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কেবল তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন মহিলা সমাজকর্মীকেও কারাগারে যেতে হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে লুইজেনের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বহু সংগঠন। অবশেষে মুক্তি পেলেন তিনি। তাঁর মুক্তির সংবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তার অভিযোগ জেলে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন কারাকর্তা এবং অন্যান্য রক্ষীরা। তাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়, কারাকর্তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয়, জেলের রক্ষীদের সঙ্গে বসিয়ে পর্নোগ্রাফিও দেখানো হয়। এছাড়া সিলিং থেকে ঝুলিয়ে মারধর, বিদ্যুতের শকের মতো নির্যাতন করা হয়।

তবে শেষবারর গ্রেফতারের কোনও স্পষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে নারী এবং সমাজকর্মী হওয়ার জন্যই তাকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল বলে মনে করা হয়। ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপহরণ করা হয় তাকে। সেখান থেকে সৌদিতে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় লুইজানকে। তখন থেকেই জেলেই ছিলেন তিনি।

এর আগে ২০১৪ সালে নারীদের গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সৌদি আরব যান গাড়ি চালিয়ে। তার কাছে লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার করে সৌদি পুলিশ।